ইনভার্টার টাইপ রেফ্রিজারেশন সিস্টেম বেসিকস (চতুর্থ অধ্যায়)

এসএসসি(ভোকেশনাল) - রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিং-১ দ্বিতীয় পত্র (দশম শ্রেণি) | - | NCTB BOOK
494
494

আজকাল অনেক ক্রেতাই রেফ্রিজারেটর কিনতে গেলে সেলসম্যানের কাছ থেকে শুনতে পান যে, তাদের পণ্যটি প্রচলিত নন-ইনভার্টার টেকনোলজিতে তৈরি নয়, বরং ইনভার্টার টেকনোলজিতে তৈরি- ফলে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এবং Eco-Friendly হবে। বর্তমানে এই প্রযুক্তি ফ্রিজ, এসি, হিমাগার, বরফ কল ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হচ্ছে। এখন প্রশ্ন হলো, ইনভার্টার টাইপ রেফ্রিজারেশন সিস্টেম বলতে কি বোঝায়, এটি কিভাবেই বা বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এবং Eco-Friendly হয়? এই অধ্যায়ে আমরা একবিংশ শতাব্দির উল্লেখযোগ্য একটি অপ্রগতি, এই ইনভার্টার টাইপ রেফ্রিজারেশন সিস্টেমের বেসিক সম্পর্কে ধারণা অর্জন করব।

এই অধ্যার পাঠ শেষে আমরা-

  • কম্পোনেন্টগুলো টেস্ট করার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারব 
  • মেজারিং ইন্সট্রুমেন্ট এর সাহায্যে কিভাবে পরীক্ষা করা যায় সে সম্পর্কে জানতে পাৱৰ 
  • ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ সমূহ চিহ্নিত করতে পারব 
  • দিক নির্ণয় ও রেফ্রিজারেন্ট চার্জ করতে পারব 
  • কাজ শেষ করে কর্মস্থল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে পারব

উপযুক্ত শিখনফলগুলো অর্জনের লক্ষ্যে এই অধ্যায়ে আমরা দুটি জব সম্পন্ন করব। এই দু'টি জবের মাধ্যমে ইনভার্টার টাইপ রেফ্রিজারেশন ইউনিটের ত্রুটি শনাক্তকরন এবং সিস্টেম মেরামত করার দক্ষতা অর্জন করব। ক্ষগুলো সম্পন্ন করার আগে প্রথমেই প্রয়োজনীয় তাত্ত্বিক বিষয়গুলো জেনে নেই।

 

 

common.content_added_by

ইনভার্টার রেফ্রিজারেশন সিস্টেমের কম্পোনেন্টস টেস্ট করার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ (৪.১)

167
167

এই শিখনফল অর্জনের মাধ্যমে আমরা সুরক্ষা পোশাক, ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি ও নিরাপত্তা, ইনভার্টার টাইগ রেফ্রিজারেশন সিস্টেমের জন্য বিশেষ টুলস ও ইকুইপমেন্টস সম্পর্কে জানব ।

common.content_added_by

সুরক্ষা পোশাক (পিপিই) (৪.১.১)

139
139

সুরক্ষা পোশাক (PPE)

 

common.content_added_by

ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি ও নিরাপত্তা (৪.১.২)

158
158

তোমরা প্রথম অধ্যায়ে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি ও নিরাপত্তা বিষয়ে জেনেছ। প্রয়োজনে আবার দেখে নাও ।

common.content_added_by

ইনভার্টার রেফ্রিজারেশন পদ্ধতিতে কাজ করার বিশেষ টুলস ও ইকুইপমেন্ট (৪.১.৩)

204
204

ইনভার্টার টাইপ রেফ্রিলারেশন সিস্টেমে কাজ করতে এর মেকানিক্যাল ও ইলেকট্রিক্যাল সার্কিট এবং তাদের কম্পোনেন্ট সমূহ টেষ্ট, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য ব্যবহৃত বিশেষ টুলস ও ইকুইপমেন্ট সম্পর্কে জেনে নেই ।

 

 

common.content_added_by

মেজারিং ইন্সট্রুমেন্ট এর সাহায্যে পরীক্ষা করা (৪.২)

241
241

এই শিখনফল অর্জনের মাধ্যমে আমরা বিদ্যুৎ, চাপ ও তাপমাত্রা পরিমাপ করার জন্য মেজারিং ইন্সট্রুমেন্ট ব্যবহার করতে পারব।

common.content_added_by

মেজারিং ইন্সট্রুমেন্ট ক্যালিব্রেট (৪.২.১)

137
137

যে সমস্ত যন্ত্র মেজারিং বা পরিমাপ করার জন্য ব্যবহার করা হয় তাকে মেজারিং ইন্সট্রুমেন্ট বলা হয়। আর মেজারিং ইন্সট্রুমেন্টকে নির্দিষ্ট রেছে সেটিং করে পরিমাপ করার উপযুক্ত করাই ক্যালিব্রেট।

মেজারিং ইন্সট্রুমেন্ট

ইনভার্টার টাইপ রেফ্রিজারেশন সিস্টেমে মেজারিং ইন্সট্রুমেন্টগুলো হল- 

ক) AVO মিটার 

খ) ডিজিটাল থার্মোমিটার 

গ) হাই প্রেশার গেজ, লো- প্রেশার গেজ

 

common.content_added_by

AVO মিটার (৪.২.২)

216
216

এ্যাভো মিটার দিয়ে বৈদ্যুতিক সার্কিটের ডিসি/এসি কারেন্ট, বৈদ্যুতিক ভোল্টেজ ও গ্রহম বা রোধ পরিমাণ করা হয়। কারেন্ট ও ভোল্টেজ পরিমাপের সময় লোডের চেয়ে বেশি রেঞ্জে রেখে পরিমাপ করতে হয়, এতে মিটার সহজে নষ্ট হয় না।

AVO মিটার ক্যান্সিব্রেটিং

এ্যাডোমিটার ক্যালিব্রেট করার পদ্ধতি-

ক) কারেন্ট ও ভোল্টেজ পরিমাপের সময়

  • সিলেক্টর সুইচকে কারেন্ট বা ভোল্টেজ পজিশনে আনি
  • মিটারের ডায়াল ক্ষেলের বামে আরম্ভ হওয়া পাঠ শুন্য "০" অবস্থানে আছে কিনা দেখি 
  • শুন্য “০” অবস্থানে না থাকলে জিরো এ্যাডজাস্টিং স্ক্রু ঘুরিয়ে কাঁটা শুন্য অবস্থানে আনি

খ) রোধ পরিমাপের সময়

  • সিলেক্টর সুইচকে ওহম পজিশনে আনি
  • মিটার প্রোব দু'টি শর্ট করি
  • মিটারের ডায়াল স্কেলের ডানে ওহম পাঠ শুন্য “০” অবস্থানে আছে কিনা দেখি 
  • শুন্য "০" অবস্থানে না থাকলে ওহম এ্যাডজাস্টিং স্ক্রু ঘুরিয়ে কাঁটা ধন্য অবস্থানে আনি

(ডিজিটাল মিটার অন করলে রিডিং জন্য দেখায় কিনা দেখতে হবে, তাছাড়া অন্য কোন ক্যালিব্রেটিং এর প্রয়োজন হয় না)

 

 

common.content_added_by

ডিজিটাল থার্মোমিটার (৪.২.৩)

221
221

এই মিটার দিয়ে সকল এ্যাপ্লায়েলের তাপমাত্রা পরিমাপ করা হয়। থার্মোমিটার সাধারণত দুই প্রকার ডায়াল টাইপ ও ডিজিটাল টাইপ। ডিজিটাল থার্মোমিটারে তাপমাত্রার বিভিন্ন স্কেল সেট করার বাটন থাকে।

 

common.content_added_by

হাই প্রেশার গেজ (৪.২.৪)

155
155

এটি চাপ পরিমাপক যন্ত্র। সাধারণত বায়ুমণ্ডলীয় চাপের অধিক চাপ পরিমাপ করা হয়। FPS (ফুট, পাউন্ড, সেকেন্ড) পদ্ধতিতে এর একক PSI (পাউন্ড পার ক্ষয়ার ইঞ্চি) আবার CGS (সেন্টি মিটার, গ্রাম, সেকেন্ড) পদ্ধতিতে কেজি পার সেন্টি মিটার করার kg/cm2|

 

 

common.content_added_by

লো-প্রেশার গেজ (৪. ২.৫)

185
185

এটিও চাপ পরিমাপক যন্ত্র যা দিয়ে বায়ুমণ্ডলীয় চাপের নিচের চাপ পরিমাণ করা হয়। লো-প্রেশার পেজকে পানি বা পারদের সাথে তুলনা করা হয়। FPS (ফুট, পাউন্ড, সেকেন্ড) পদ্ধতিতে এর একক ইঞ্চি অব মারকারি (in Hg) | CGS (সেন্টিমিটার, গ্রাম, সেকেন্ড) পদ্ধতিতে সেন্টিমিটার অব মারকারি।

 

common.content_added_by

ইনভার্টার রেফ্রিজারেশন সিস্টেমের ব্যবহৃত যন্ত্রাংশসমূহ (৪.৩)

433
433

এই শিখনফল অর্জনের মাধ্যমে আমরা ইনভার্টার রেফ্রিজারেশন পদ্ধতি এবং এর যাবতীয় যন্ত্রাংশ সম্পর্কে জানৰ ।

common.content_added_by

ইনভার্টার রেফ্রিজারেশন সিস্টেমের ধারণা (৪.৩.১)

264
264

রেফ্রিজারেশন পদ্ধতিতে ইনভার্টার প্রযুক্তি একটি চমৎকার উদ্ভাবন। প্রতি বছর ইনভার্টার প্রযুক্তির নতুন নতুন সংস্করণ বাজারে আসলেও বেসিক প্রযুক্তি মূলত একই। ইনভার্টার এসিতে একটি ভেরিয়েবল ফ্রিকোয়েন্সি ড্রাইভ যা কম্প্রেসর ও ফ্যান মোটরের স্পীড নিয়ন্ত্রনের জন্য একটি ইনভার্টার সার্কিট সন্নিবেসিত থাকে।

এই ড্রাইভটি সরবরাহকৃত অল্টারনেটিং কারেন্টকে ডাইরেক্ট কারেন্টে পরিবর্তন করে। তারপর ইলেকট্রিক্যাল ইনভার্টার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিবর্তনশীল অর্থাৎ কাংখিত ফ্রিকোয়েন্সির বিদ্যুৎ তৈরি করে। এতে একটি মাইক্রো কন্ট্রোলার বিভিন্ন সেন্সরের মাধ্যমে পারিপার্শ্বিক তাপমাত্রা, চাপ সংগ্রহ করে সে অনুযায়ী কম্প্রেসর ও ফ্যান মোটরের স্প্রিড সমন্বয় করে। ইনভার্টার এবং কম্প্রেসরের বিশেষ এ্যাডভান্সড প্রযুক্তির জন্য এ ধরণের ইউনিটটি শব্দ যুক্ত, সাশ্রয়ী পরিচালনা ব্যয় ও বারবার অন-অফ না করে নিরবিচ্ছিন্নভাবে পরিচালিত হয়।

মূলকথা হল, ইনভার্টার রেফ্রিজারেশন যুক্ত এসি একবার চালু করলে বার বার বন্ধ না হয়ে প্রয়োজন মত এসির কুলিং নিয়ন্ত্রণ করে ঘরের আবহাওয়া ও তাপমাত্রার সাথে মিল করে কুলিং সিস্টেম চালু রাখে এবং এসিতে থাকা সেন্সরের সাহায্যে প্রয়োজন অনুযারী কম্প্রেসরের স্প্রিড কমার বাড়ার। ইনভার্টার এসি চালু করার পর দ্রুত কুলিং করে ঘর ঠাণ্ডা হয়ে গেলে কম্প্রেসর ও ফ্যান মোটরের গতি ধীর হয়ে যায়। ফলে বিদ্যুৎ খরচ কম হয়।

ইনভার্টার রেফ্রিজারেশন সিস্টেমের সুবিধা ও অসুবিধা

ইনভার্টার প্রযুক্তির সুবিধা : নন ইনভার্টারের তুলনায় ইনভার্টার টাইপ রেফ্রিজারেশন প্রযুক্তি পরিবেশ ৰান্ধব। অল্প বিদ্যুৎ খরচ করে বলে বিদ্যুৎ খরচ অনেক কম হয়ে থাকে। স্টার্টিং কারেন্ট অনেক কম থাকে। এই এসির শব্দ খুবই কম এমনকি একেবারেই নিঃশব্দ। লোডের তারতম্য হলেও দ্রুত ঠাণ্ডা করতে সক্ষম। গঠন ও প্রযুক্তিগত কারণে সাধারণ ইউনিটের চেয়ে দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং ত্রুটি কম হয়। এটি সোলার প্যানেলের সাহায্যেও চালানো সম্ভব। আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এই সিস্টেমের সাথে ইন্টারনেট সংযোগ করা যায় যার ফলে নির্দিষ্ট সফ্টওয়্যারের মাধ্যমে সিস্টেমের অবস্থা ও ত্রুটি নির্ণয় করা যায় ।

ইনভার্টার প্রযুক্তির অসুবিধা: ইনভার্টার রেফ্রিজারেশন ইউনিটের দাম নন ইনভার্টারের তুলনায় বেশি হয়ে থাকে। ইনভার্টার রেফ্রিজারেশন ইউনিটের মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের খরচ তুলনামূকভাবে বেশি হয়। এতে মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণে উচ্চ দক্ষতা সম্পন্ন টেকনিশিয়ানের প্রয়োজন হয়।

ইনভার্টার রেফ্রিকারেশন সিস্টেমের ব্যবহার

রেফ্রিজারেশন সিস্টেমের সবক্ষেত্রেই ইনভার্টার প্রযুক্তির ব্যবহার সম্ভব । বর্তমানে ইনভার্টার রেফ্রিজারেশন পদ্ধতি এয়ার কন্ডিশনারের ক্ষেত্রে ব্যপকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রতিযোগীতা মূলক বাজারে রেফ্রিজারেশন কোম্পানিগুলি নিজেদের অবস্থান আরও সুদৃঢ় করার জন্য নতুন নতুন সুবিধা সম্বলিত বিভিন্ন ধরণের ইনভার্টার এয়ার কন্ডিশনার বাজারে আনছে। কিছু কিছু কোম্পানি রেফ্রিজারেটরেও এই প্রযুক্তি ব্যবহার করছে।

 

 

common.content_added_by

ইনভার্টার রেফ্রিজারেশন সিস্টেমের মেকানিক্যাল সার্কিট (৪.৩.২)

266
266

ইনভার্টার রেফ্রিজারেশন পদ্ধতিতে ভেপার কম্প্রেশন হিমায়ন চক্র ব্যবহৃত হয়। ভেপার কম্প্রেশন হিমায়ন পদ্ধতির প্রধান অংশগুলো হলো কম্প্রেসর, কন্ডেন্সার, রেফ্রিজারেন্ট কন্ট্রোল ডিভাইস এবং ইভাপোরেটর। এছাড়াও হিমায়ন যন্ত্র সুষ্ঠুভাবে চালনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও তাপীয় দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য কয়েকটি সাহায্যকারী হিসেবে ড্রায়ার, হিট এক্সচেঞ্জার, অ্যাকুমুলেটর, রিসিভার (Reciver) প্রভৃতি উপাংশ (Accessories) ব্যবহার করা হয়। চিত্র ৪.১৮এ একটি জেলার কম্প্রেশন হিমায়ন পদ্ধতি দেখানো হয়েছে।

কম্প্রেসর (Compressor ) 

হিমায়ন ইউনিট অর্থাৎ কম্প্রেসর প্রাইম মুভার দিয়ে পরিচালিত হয়ে চালু (Start) করার পর কম্প্রেসর ইভাপোরেটর হতে নিম্নচাপের বাপ্পীর হিমায়ককে শোষন পূর্বক সংকোচন করে উচ্চ চাপে (High Pressure) কন্ডেন্সারে প্রেরণ করে। অর্থাৎ, কম্প্রেসরের সাকশন স্ট্রোকের সময় সাকশন লাইন দিয়ে ইভাপোরেটর হতে নিচু ভাপমাত্রার হিমায়ক শোষণ করে। কম্প্রেসরের বিপরীত স্ট্রোকে বা ডিসচার্জ স্ট্রোকে (Discharge Stroke) ঐ ৰাম্পিয় হিমায়ককে সংকোচন করে চাপ ও তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে ডিসচার্জ লাইনের মাধ্যমে কন্ডেন্সারে প্রেরণ করে।

কন্ডেন্সার (Condenser) 

কন্ডেন্সর থেকে আগত উচ্চ চাপ ও তাপীয় বাষ্পীয় হিমায়কের সুপ্ত ভাগ অপসারণ করে কন্ডেন্সারে বাষ্পীয় রেফ্রিজারেন্টকে ভরলে পরিণত করা হয়। কন্ডেন্সার থেকে তাপ অপসারণ করার জন্য ক্ষেত্রবিশেষে প্রাকৃতিক ৰাতাস, ফ্যান অথবা পানি ব্যবহার করা হয় ।

রেফ্রিজারেন্ট কন্ট্রোল ডিভাইস (Refrigerant Control Device) 

উচ্চ চাপে তরলের প্রবাহ, রেফ্রিজারেন্ট কন্ট্রোল ডিভাইস এর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হয় এবং ভরল হিমায়ক নিয়ন্ত্রিতভাবে নিম্নচাপে ইভাপোরেটরে যায়। ইনভার্টার সিস্টেমে সাধারণত ইলেকট্রনিক কন্ট্রোল এক্সপানশন ভাভই বেশি ব্যবহৃত হয়। কিছু কিছু ইউনিটে থার্মোস্ট্যাটিক এক্সপানশন ভালভ ব্যবহৃত হয়।

ইভাপোরেটর (Evaporator) 

রেফ্রিজারেন্ট কন্ট্রোল ডিভাইস থেকে আগত তরল রেফ্রিজারেন্ট ইভাপোরেটরে বাস্পীভূত হওয়ার সময় আশেপাশের এলাকা হতে প্রচুর সুপ্ততাপ গ্রহণ করে, ফলে এলাকাটি যথেষ্ট ঠাণ্ডা হয়। 

তারপর ইভাপোরেটর কয়েল হতে নিম্নচাপের বাষ্পীভূত হিমায়ক আবার কম্প্রেসরে ফিরে আসে এবং পরবর্তী চক্র বা সাইকেল শুরু হয়। এভাৰে হিমায়ন চক্র বারবার চলতে থাকে।

 

শ্রেণির তাত্ত্বিক কাজ ১ 

নিচের ছবিটি লক্ষ্য করি এবং হবে বিভিন্ন অংশের নাম লিখ।

 

common.content_added_by

ইনভার্টার রেফ্রিজারেশন সিস্টেমের এমপিবি সার্কিট (মাইক্রো প্রসেসর বোর্ড) (৪.৩.৩)

164
164

ইনভার্টার রেফ্রিজারেশন সিস্টেমের ক্ষেত্রে ইলেকটিক্যাল সার্কিট নন ইনভার্টার এসির ইলেকট্রিক্যাল সার্কিট থেকে ভিন্ন, কারণ এই সার্কিটটি সম্পুর্ণই ইলেকট্রনিক মাইক্রো প্রসেসর বোর্ড দিয়ে নিয়ন্ত্রিত। মাইক্রো প্রসেসর বোর্ডের প্রধান অংশই হল মাইক্রো প্রসেসর বা কন্ট্রোলার, যা ব্যবহারের ফলে এয়ার কন্ডিশনারের নিয়ন্ত্রন ব্যবস্থায় অনেক সুবিধা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। মাইক্রো কন্ট্রোলার যুক্ত ইউনিট ব্যবহারকারীর কাছে অনেক বেশি আরামদায়ক অনুভূতির সৃষ্টি হয়।

মাইক্রো কন্ট্রোলারের গঠন 

মাইক্রো কন্ট্রোলারের দু'টি অংশ প্রথমটি হার্ড ওয়ার যা দৃশ্যমান, অপরটি সফট ওরার যা অদৃশ্য। বোর্ডে কম্পিউটার সংযোগ করে প্রসেসরে অপারেটিং প্রোগ্রাম প্রদান করা হয়। কিছু কিছু বোর্ডের সাথে প্রোগ্রামিং এর জন্য এলসিডি (Liquid Crystan Display) সংযুক্ত থাকতে পারে।

মাইক্রো কন্ট্রোলারের সংক্ষিপ্ত কার্যাবলী 

ইনভার্টার সিস্টেমের কম্প্রেসর বন্ধ হয় না। কম্প্রেসরের রোটেশন ফ্রিকোয়েন্সি নির্ভর করে লোডের ভিত্তিতে। এসির সেটিং টেম্পারেচার খুবই সামান্য পরিবর্তন হয়। বেশিরভাগ সময় তাপমাত্রা স্থির থাকে। বিভিন্ন ইনপুট তথ্য সমন্বয় করে মাইক্রো কন্ট্রোলার আরামদায়ক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে পাশাপাশি মৃত সেটিং, ইকোনোমিক মুড, ব্লোয়ার ও কুলিং ফ্যান স্পীড, টাইমার, এরার সুইং ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করে এসিকে ব্যবহারবান্ধব করে।

নীচে ইনভার্টার এসির মাইক্রো কন্ট্রোলার যুক্ত ইনডোর এবং আউটডোর ইউনিটের ইলেকট্রিক্যাল সার্কিট দেখান হল ।

  • ফিস্টার সেকশন
  • পাওয়ার ফেক্টর কারেকশন সেকশন
  • ইনভার্টার সেকশন

 

ফিল্টার সেকশন 

ফিল্টার সেকশন ইনপুট অল্টারনেটিং কারেন্ট কে ডাইরেক্ট কারেন্টে পরিনত করে। গাওয়ার ফেক্টর সেকশন সাপ্লাই কারেন্টের পাওয়ার ফেক্টরের মান উন্নীত করে যা লোডের কারেন্ট খরচ কমিয়ে আনে। ইনভার্টার সেকশন আবার ডাইরেক্ট কারেন্টকে অল্টারনেটিং কারেন্টে পরিণত করে। বিশেষ ধরণের ব্রাশলেস ডিসি মোটর কম্প্রেসরকে পরিচালিত করে রেফ্রিজারেন্টকে সংকোচিত করে কন্ডেন্সারে প্রেরণ করে।

পাওয়ার ফ্যাক্টর কারেকশন 

সেকশন ফ্রিকোয়েন্সি ইনভার্টার এ্যাপলায়েন্সে পাওয়ার ফ্যাক্টর কারেকশন অংশ অন্তর্ভুক্ত রাখতেই হয়। সাধারণত ইন্ডাক্টর, ট্রানজিস্টর ও ডায়োড ইত্যাদি নিয়ে পাওয়ার ফ্যাক্টর নেকশন গঠিত। ভাল পাওয়ার কনভার্টার বলতে বোঝায় যেটি ৯৮% এর বেশি পাওয়ার ফ্যাক্টর উন্নীত করে।

ইনভার্টার সেকশন 

এই সেকশন ডিসি কম্প্রেসর মোটরে ও ফেজ ভোল্টেজ সাপ্লাই দেয়। প্রাথমিক ডিজাইনে ডিজাইনাররা ৬টি পৃথক আইজিবিটি (Insulated Gate Bipolar Transistor) ব্যবহারের মাধ্যমে পঠিত, যেগুলি নিয়ন্ত্রিত হয় মাইক্রো প্রসেসর দিয়ে ।

তৈরিকৃত খয়ের অনুযায়ী ইনভার্টার সার্কিট ৩ প্রকার -

  • স্কয়ার ওয়েব ইনভার্টার সার্কিট 
  • মডিফাইড ওয়েব ইনভার্টার সার্কিট 
  • পিওর সাইন ওয়েব ইনভার্টার সার্কিট
স্কায়ার ওরেব ইনভার্টার সার্কিট - এটি সহজতম ওয়েবফর্ম যা ইনভার্টার তৈরি করতে পারে। কম সংবেদনশীল যেমন লাইটিং এবং হিটিং কাজে এই সার্কিট ব্যবহার করা হয়।
মডিফাইড ওয়েব ইনভার্টার সার্কিট - এটি স্কয়ার ওয়েবের চেয়েও জটিল হলেও সাইন ওয়েবের চেয়ে সহজতম ইনভার্টার তৈরি করে। এটিও কম সংবেদনশীল কাজের সার্কিটেই ব্যবহার করা হয়।
পিওর সাইন ওয়েব ইনভার্টার সার্কিট- এটি জটিলতম ও দক্ষ ওয়েবফর্মের ইনভার্টার। অধিক সংবেদনশীল যেমন ইন্ডাস্ট্রিয়াল মেশিনারিজ, ইলেকট্রনিক এ্যাপলারেন্স, রেফ্রিজারেটর, এয়ার কন্ডিশনার ইত্যাদি সার্কিটে ব্যবহার করা হয়।

 

 

common.content_added_and_updated_by

ইনভার্টার রেফ্রিজারেশন সিস্টেমে বিশেষ কম্প্রেসর (৪.৩.৪)

161
161

কম্প্রেসর হল মেকানিক্যাল রেফ্রিজারেশন পদ্ধতির হার্ট। সাম্প্রতিক ইনভার্টার প্রযুক্তি ব্যবহারের সাথে সাথে কম্প্রেসরেরও পরিবর্তন আসছে। ইনভার্টার টেকনোলজির বিশেষ কম্প্রেসর সম্পর্কে জেনে নেই।

ইনভার্টার রেফ্রিজারেশন টেকনোলজিতে সাধারণত বিশেষ ধরণের বিএলডিসি (ব্রাস লেস ডাইরেক্ট কারেন্ট) মোটর ব্যবহার করা হয় যাতে রোটারী কম্প্রেসরের শ্যাফট এ একাধিক ব্লেড সংযুক্ত থাকে। একাধিক ব্লেড যুক্ত শ্যাফটটি সমসংখ্যক আবদ্ধ সিলিন্ডারের ভেতর ঘুরে ইভাপোরেটর থেকে রেফ্রিজারেন্ট গ্যাসকে শোষণ করে এনে সংকুচিত করে এবং কভেলারে প্রেরণ করে। সিলিন্ডারগুলি নির্ধারিত ফেজ এ্যাঙ্গেলে অবস্থান করায় অনেক বেশি স্থিতিশীল ও শব্দযুক্ত ভাবে চলতে পারে। রোটেশনাল ব্যালেন্সের জন্য ইনভার্টার মোটর কম্প্রেসরকে সাধারণত ৭০০ থেকে ৮০০০ আরপিএম (রেভুলেশন পার মিনিট) পতি পর্যন্ত পরিচালিত করে । এভাবে ইনভার্টার রেফ্রিজারেশন পরিবর্তনশীল টনেজ প্রদানের ক্ষমতা অর্জন করে। যেমন, একটি ১.৫ টন ইনভার্টার এসির টনেজ পরিবর্তিত হয় সর্বনিম্ন ০.৬ টন থেকে সর্বোচ্চ ১.৮ টন।

 

common.content_added_by

বিএলডিসি মোটর (৪.৩.৫)

191
191

বিএলডিসি মোটর (Brushless Direct Current Motor)

বিএলডিসি মোটরের রোটরটি স্টেটর ওয়াইভিং এর সাথে স্থায়ী চুম্বক ব্যবহার করে তৈরি। এটিতে ডিসি মোটরের মত ব্রাশ এবং কমুটেটর ব্যবহার করা হয় না বিধায় কিছু সমস্যা দূরিভূত হয়েছে, যেমন- স্পার্ক হওয়া, ব্রাণ নষ্ট হওয়া, সরে যাওয়া, বৈদ্যুতিক শব্দ ইত্যাদি। মোটরের ওয়াইডিংগুলো পাওয়ার মাইক্রো ইলেক্ট্রনিক কন্ট্রোলের সাথে যুক্ত থাকে যেটি মোটরের গতি ও শক্তি নিয়ন্ত্রণ করে। কার্যক্ষমতা ও বিশ্বস্ততা নিশ্চিত করার জন্য ইলেকট্রনিক কন্ট্রোলে বিভিন্ন ধরণের নিরাপত্তা ও মনিটরিং সার্কিট সংযুক্ত থাকে ।

বিএলডিসি মোটরের সুবিধা

  • বিদ্যুৎ খরচ কম
  • অপেক্ষাকৃত ছোট এবং হালকা 
  • টর্ক বৈশিষ্ট্যের তুলনায় টর্ক ভাল 
  • শব্দ কম
  • কর্মদক্ষতা ও বিশ্বস্ততা বেশি 
  • উচ্চ গতি সম্পন্ন 
  • রক্ষণাবেক্ষণ খরচ কম 
  • গতি পরিবর্তন করা যার

বিএলডিসি মোটরের অসুবিধা

  • প্রাথমিক ক্রয় খরচ বেশি 
  • মেরামতে দক্ষ টেকনিশিয়ান প্রয়োজন

 

 

common.content_added_by

ইলেকট্ৰনিক আইপিএম (ইন্টেলিজেন পাওয়ার মডিউলার) সার্কিট (৪.৩.৬)

170
170

ইলেকট্ৰনিক আইপিএম (ইন্টেলিজেন পাওয়ার মডিউলার) সার্কিট

নতুন ডিজাইনে পাওয়ার মডিউলকে বলা হয় আইপিএম (ইন্টেলিজেন্স পাওয়ার মডিউলার)। আইপিএম সার্কিট হল ইনভার্টার রেফ্রিজারেশন পদ্ধতির প্রাণ, এটিকে ডিসিশন মেকিং বা কন্ট্রোল ইউনিটও বলা হয়ে থাকে। এটিতে ৬টি আইজিবিটি ট্রানজিস্টর, ডিটেকশন সার্কিট, ওভারলোড কন্ডিশন এবং অন্যান্য প্যারামিটারগুলি একটি ছোট খাপে সংক্ষেপন করা হয়েছে। এটি দেখতে একটি ইন্টিরেটেড সার্কিটের মত। সিস্টেমের বিভিন্ন সেন্সরের প্রেরিত তথ্য এবং ব্যবহারকারীর রিমোটের মাধ্যমে প্রেরিত কমান্ড অনুসারে ইউনিটের মোটরগুলো পরিচালনা এবং প্রয়োজনীয় পাওয়ার ট্রান্সফার করে।

আইপিএম এর সুবিধা

  • সার্কিটের আয়তন কমে 
  • অর্থ সাশ্রয়ী 
  • অধিক সংবেদনশীল ও বিশ্বস্ত 
  • সহজে পরিবর্তনযোগ্য

 

 

common.content_added_by

ইনভার্টার রেফ্রিজারেশন পদ্ধতিতে ব্যবহৃত সেলর (৪.৩.৭)

166
166

ইনভার্টার রেফ্রিজারেশন পদ্ধতি দক্ষতার সাথে পরিচালনা করার জন্য একাধিক সেন্সর ব্যবহার করা হয়। সেন্সরগুলোর প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতেই এই সিস্টেম দক্ষতার সাথে পরিচালিত হয়।

ইনভার্টার রেফ্রিজারেশন পদ্ধতির সেন্সরগুলো হল-

  • ইনডোর এম্বিয়েন্ট টেম্পারেচার সেন্সর 
  • ইনডোর টেম্পারেচার সেন্সর 
  • আউটডোর এম্বিয়েন্ট টেম্পারেচার সেলর 
  • আউটডোর কন্ডেন্সার টেম্পারেচার সেন্সর 
  • আউটডোর কম্প্রেসর এগজস্ট টেম্পারেচার সেন্সর

বিভিন্ন স্থির ও পরিবর্তনযোগ্য সেন্সর দিয়ে স্মার্ট ইনভার্টার এয়ার কন্ডিশনারের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয়। স্মার্ট এসি অর্থাৎ স্মার্ট নিয়ন্ত্রণ যা দিয়ে মানুষের আরাম ও অর্থ সাশ্রর দু'টি লক্ষ্যই অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।

 

 

common.content_added_by

ইনভার্টার রেফ্রিজারেশন পদ্ধতিতে ব্যবহৃত রেফ্রিজারেন্ট (৪.৩.৮)

191
191

রেফ্রিজারেন্ট বা হিমায়ক এক ধরনের প্রবাহী, যা রেফ্রিজারেশন সিস্টেমে ভাগ স্থানান্তরের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। হিমায়ক নিম্ন চাপে তরল থেকে বাষ্পে পরিণত হওয়ার সময় পারিপার্শ্বিক থেকে প্রচুর পরিমাণে সুখ ভাগ গ্রহণ করে এবং উচ্চ চাপে ঘনীভবনের সময় সে ভাপ বর্জন করে। এভাবেই অবস্থার পরিবর্তনের মাধ্যমে বার বার আবর্তিত করে রেফ্রিজারেশন সিস্টেমে ভাপ স্থানান্তরের কাজ করে ৷

সব ধরণের রেফ্রিজারেশন পদ্ধতিতেই ইনভার্টার প্রযুক্তি ব্যবহার করা যায় ভাই সব রেফ্রিজারেন্টই এই প্রযুক্তির সাথে ব্যবহার করা যেতে পারে। বর্তমানে বহুল প্রচলিত স্ট্রীট এসির ক্ষেত্রে R - ৪১০৪ ব্যবহৃত হয়। 

R -৪১০a এর বৈশিষ্ট্য

R-৪১০a রেফ্রিজারেন্ট R - ২২ এর চেয়ে ক্ষমতা বেশি এবং অপারেটিং চাপ ৫০% থেকে ৬০% বেশি।

ওজনের ভিত্তিতে ৫০% R 2 (CH2F2) ডাইক্লোরোষিবেন, এবং ৫০% R - (C2HF5) পেন্টাক্লোরোইখেন, এর মিশ্রণে গঠিত। এর বয়েসিং তাপমাত্রা ৫১.৫৮পসে. (ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড)। এর ক্রিটিক্যাল তাপমাত্রা এবং ক্রিটিক্যাল চাপ যথাক্রমে ৭২.১৩ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড, ৭১৪.৫০ পিএসআইএ। এ গ্যাস সিলিন্ডারের রং গোলাপী।

 

 

common.content_added_by

ইনভার্টার রেফ্রিজারেশন পদ্ধতির লিক নির্ণয় ও রেফ্রিজারেন্ট চার্জ করা (৪.৪)

236
236

ইনভার্টার রেফ্রিজারেশন পদ্ধতির লিক নির্ণয় ও রেফ্রিজারেন্ট চার্জ করা (Leak detection and Refrigerant Charge in Inverter Refrigeration System)

এই লিখনফল অর্জনের মাধ্যমে আমরা ইনভার্টার রেফ্রিজারেশন পদ্ধতির মেরামত সম্পর্কে জানব । মেরামতের কাজ ব্যবহারিকের মাধ্যমে শিখব তবে তার আগে বহুল ব্যবহৃত ব্রেজিং এর ধারপার্জন করব।

common.content_added_by

ব্রেজিং ও ব্রেজিং পদ্ধতি (৪.৪.১)

388
388

দু'টি ধাতুর মধ্যে গ্যাস লিখার মাধ্যমে উচ্চ তাপে ব্রেজিং রড দিয়ে জোড়া সেজার প্রক্রিয়াকে ব্রেজিং বলে। ব্রেজিং এর কাজে যে মিশ্র ধাতু ব্যবহার করা হয় একে হার্ড সোল্ডারিং অথবা স্পেন্টার বলে। সাধারণত কপার (তাম্র) এবং জিঙ্ক (দস্তা) নির্ধারিত অনুপাতে মিশিয়ে এটি তৈরি করা হয়। হার্ড সোন্ডার সফট সোল্ডার অপেক্ষা অনেক বেশি তাপমাত্রার পলে এবং সংযোগ অধিকতর মজবুদ্ধ হয়।

রেফ্রিজারেশন শিল্পে ব্রেজিং কাজে ভাগের উৎস সাধারণতঃ দু'ধরণের- 

১। ব্লো-ল্যাম্পের শিক্ষা, ব্লো-ল্যাম্পের শিখা থেকে প্রাপ্ত ভাগ। 

২।ব্লো-টর্চের শিখা, অক্সি- অ্যাসিটিলিন প্যাসের মাধ্যমে প্রাপ্ত তাপ ।

 

 

common.content_added_by

ব্লো-ল্যাম্প শিখা (৪.৪.২)

279
279

ব্লো-ল্যাম্প একটি বিশেষ ধরণের হস্ত চালিত টর্চ, যাতে জ্বালানী উৎস হিসেবে সাধারণত কেরোসিন ব্যবহার করা হয়। এতে জ্বালানী ৰহিঃগমন নজেলে চাপ প্রয়োগে একটি হস্ত চালিত পাম্প লাগানো থাকে। এর ফ্লেম তাপমাত্রা ওয়েল্ডিং কাজের উপযুক্ত না হলেও কম ব্যাসের কপার টিউব সোল্ডারিং ও ব্রেজিং কাজের উপযুক্ত। বর্তমানে এর পরিবর্তে গ্যাসীর নন রিকিলেবল ছোট ব্লো-ল্যাম্পের ব্যবহার পরিলক্ষিত হচ্ছে।

 

 

common.content_added_by

অক্সি-এ্যাসিটিলিন শিখা (৪.৪.৩)

193
193

একটি বিশেষ ধরণের ওয়েল্ডিং টর্চ (Welding Torch) এর সাহায্যে শিখা তৈরী করে সংযোগ স্থলে তাপ দেয়া হয়। জ্বালানী হিসেবে এ্যাসিটিলিন ব্যবহার করা হয় এবং অক্সিজেন এ্যাসিটিলিনকে জ্বলতে সাহায্য করে। কাজের সুবিধার্থে টর্চের বিভিন্ন সাইজের বা নম্বরের নজেল ব্যবহার করা হয়। এখানে অক্সিজেন সাহায্যকারী গ্যাস হিসাবে ব্যবহৃত হয়। 

অক্সি-এ্যাসিটিলিন শিখা বা ওয়েল্ডিং শিখা ৩ প্রকার-

  • কার্বুরাইজিং শিখা 
  • নিউট্রাল শিখা 
  • অক্সিডাইজিং শিখা

ব্রেজিং কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা-

ক) ব্রেজিং করার আগে ধাতব খতময় ইমারী পেপার দিয়ে ভাল ভাবে পরিষ্কার করা হয়। 

খ) গ্যাস বা ব্লো-ল্যাম্পের শিখা ধাতব খণ্ডের পরিষ্কার করা অংশে পরোক্ষন মত উত্তর করতে হবে । 

গ) কিলার এলিমেন্ট বা অন্যকিছুর সাহয্যে উত্তর হলে প্রয়োজন মাফিক ফ্লাক্স লাগিয়ে দিতে হবে। 

ঘ) সোল্ডারিং এলিমেন্ট (সিলভার বা ব্রাশ) ধাতব খণ্ডের উত্তপ্ত স্থলকে স্পর্শ করলে শিখার ভাগে ও চাপে সোল্ডারিং এলিমেন্ট উত্তম রূপে সংযোগ স্থলে প্রবেশ করে ও লেগে যায়। অতপর লিখা সরিয়ে নিতে হবে। 

ঙ) উত্তপ্ত সংযোগ স্থলকে ঠাণ্ডা (পানি বা ফোর্স এয়ার দিয়ে) করার ব্যবস্থা করতে হবে । 

চ) ঝাঁলাইটি যথাযথভাবে সম্পন্ন হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করতে হবে ।

 

 

common.content_added_by

ব্রেজিং প্রস্তুত করার মালামালের তালিকা (৪.৪.৪)

195
195

১। সংযোগকারী ধাতব খণ্ড- যে বস্তুকে সংযুক্ত করতে হবে। 

২। কিনার মেটাল- যে ধাতব উপাদানকে পলিয়ে সংযোগ স্থলে প্রয়োগ করা হয়। 

৩। ফ্লাক্স সংযোগ প্রক্রিয়া তরান্বিত করনের উপকরন যা দিয়ে ভাগ প্ররোপীয় অংশ পরিষ্কার করা হয়। 

৪। এসারী পেপার - কাঠামোর সংযোগকারী ধাতব পশুকে পরিষ্কার করণের উপকরন। 

৫। ওয়্যার ব্রাশ- কাঠামোর সংযোগকারী ধাতব শক্ত, উৎপাদন সামগ্রী, ওয়ার্ক টেকিস ইত্যাদি পরিষ্কার করনের উপকরন। 

৬। ব্লো-ল্যাম্প বা ব্লো-টর্নের শিখা- ব্রেজিং এর সময় ওয়ার্ক পিচে তাপ প্ররোগের জন্য এক ধরনের ভাপের উৎস। 

৭। ওয়ার্কিং টেবিল- যে টেবিলে সোল্ডারিং কাজ সম্পন্ন করা হয়।

 

common.content_added_by

ব্রেজিং এর কাজে ব্যবহৃত ফ্লাক্স (৪.৪.৫)

193
193

ফ্লাক্স এক প্রকার উপাদান বা ঝালাই স্থানে প্রয়োগ করলে ঝালাই নিখুঁত ও মজবুত করে। ব্রেজিং এ ফ্লাক্সগুলোর নাম নিচে উল্লেখ করা হল-

  • বোরাক্স (Borax) যা সোহাগা 
  • স্যাল অ্যামোনিয়াক (Sal Ammoniac) বা নিশাদল
  • হাইড্রোক্লোরিক এসি ( Hydro Chloric Acid) 
  • জিঙ্ক ক্লোরাইড স্যালিউশন (Zink Chloride Solution), ইত্যাদি

ফ্লাক্সের কাজ 

ব্রেজিং এর কাজে ব্যবহৃত ফ্লাক্সের কাজ বা প্রয়োজনীয়তা -

  • যে ধাতুর পাত বা তার জোড়া লাগানো হবে তা হতে অক্সাইডকে দূরীভূত করে 
  • উক্ত কাজে নতুন অক্সাইড তৈরিতে বাধা দেয় 
  • গলিত সোন্ডারের “সারফেস টেনশন" কমিয়ে প্রবাহ নিশ্চিত করে 
  • গলিত সোল্ডারকে ঝালাইয়ের সঠিক স্থানে পৌঁছে দেয়

 

শ্রেণির তাত্ত্বিক কাজ ২ 

তোমরা নিচের ছবিটি লক্ষ্য কর এবং বিভিন্ন অংশের নাম ও কাজ লেখ।

 

 

common.content_added_by

কর্মস্থল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা (৪.৫)

195
195

এই শিখন ফলে আমরা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার করণীয় কাজ এবং পরিষ্কারক উপাদান ও সরঞ্জামগুলোর নাম চিত্রসহ জানতে পারব।

কাজ শুরু করার আগে এবং পরে কর্মক্ষেত্র পরিষ্কার করা একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার জন্য বিভিন্ন ধরণের ক্লিনিং ইকুইপমেন্ট পাওয়া যায়। বায়বহুল হলেও কার্যকারী ইকুইপমেন্ট ব্যবহার করলে অভি অল্প সময়ে কাজটি সম্পন্ন করা সম্ভব।

৪.৫.১ বিভিন্ন পরিষ্কারকারক উপাদান এর নাম সহ চিত্র সেরা হল-

 

অনুসন্ধানমূলক কাজ 

তোমার প্রতিষ্ঠানের কাছাকাছি যে কোন একটি ইনভার্টার এসি কোম্পানির অথরাইজড ওয়ার্কশপ পরিদর্শন কর। ইনভার্টার ইউনিট বিষয়ে নিচের ছকে তোমার মতামত দাও।

 

 

common.content_added_by

ইনভার্টার রেফ্রিজারেশন (রেফ্রিজারেটর) ইউনিটের লিক শনাক্তকরণ (জব ১)

172
172

পারদর্শিতার মানদন্ড -

  • ইউনিটের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা 
  • ইউনিটে চার্জিং লাইন তৈরি করা
  • যথাযথ হোস পাইপ সংযোগ করা 
  • ড্রাই নাইট্রোজেন ব্যবহার করে চাপ প্রদান করা 
  • লিক টেস্ট করা

(ক) ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (PPE)

 

(খ) প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি (টুলস্, ইকুইপমেন্টস ও মেশিন)

 

গ) প্রয়োজনীয় মালামাল

 

(ঘ) কাজের ধারা

১) মালামালের তালিকা অনুযায়ী প্রথমে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, মালামাল সংগ্রহ করো। 

২) PPE পরিধান কর । 

৩) মেকানিক্যাল সার্কিটের ওয়েন্ড সংযোগস্থলগুলি পর্যবেক্ষণ করো। 

৪) গ্যাস ওয়েন্ডিং দিয়ে চার্জিং লাইনে প্রেভার ভাত যুক্ত প্রসেস টিউব সংযোগ করো। 

৫) নাইট্রোজেন গ্যাস চার্জ করে ১৫০ পিএসআই চাপ প্রয়োগ করো। 

৬) ইলেকট্রনিক লিক ডিটেকটর / সাবান ফেনা দিয়ে লিক আছে কিনা টেস্ট করো। 

৭) লিক টেস্ট করার পর লিক থাকলে মেরামত করে আবার নাইট্রোজেন প্রয়োগ করে অন্তত এক ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ কর। যদি দেখা যায় প্রেশার একই আছে তাহলে বোঝাবো জটি সঠিক হয়েছে। এবার প্রসেস টিউব থেকে হোস পাইপ খুলে ডেড নাট লাগিয়ে দেই। 

৮) যন্ত্রপাতি পরিষ্কার করে নির্দিষ্ট স্থানে রাখ । 

৯) ওয়ার্কশন্স পরিষ্কার করো।

 

কাজের সতর্কতা

  • কাজ করার সময় অব্যশই PPE পরিধান করতে হবে 
  • সঠিক ভাবে টুলসের ব্যবহার নিশ্চিত হতে হবে 
  • ব্রেজিং করার সময় প্রসেস টিউব থেকে স্রেডার ভালভ খুলে রাখতে হবে 
  • কাজের সময় অমনোযোগী হওয়া যাবে না 
  • যদি বুঝতে সমস্যা হয় তবে শিক্ষকের সহায়তা নিতে হবে 
  • শিক্ষকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোন কাজ করা যাবে না

আত্মপ্রতিফলন 

ইনভার্টার রেফ্রিজারেশন (রেফ্রিজারেটর) ইউনিটের লিক শনাক্ত করার সক্ষমতা অর্জিত হয়েছে/হয় নাই/আবার অনুশীলন করতে হবে।

 

 

common.content_added_by

ইনভার্টার রেফ্রিজারেশন (স্প্লিট এয়ারকন্ডিশনার) সিস্টেমে রেফ্রিজারেন্ট চার্জ করণ (জব ২)

191
191

পারদর্শিতার মানদন্ড

  • অক্সি-এ্যাসিটিলিন ব্রেজিং এর মাধ্যমে রেফ্রিজারেশন ইউনিটের ফিল্টার ড্রায়ার বিচ্ছিন্ন করা 
  • ড্রাই নাইট্রোজেন এর মাধ্যমে সিষ্টেমকে ক্লিনিং ও ফ্লাশিং করা 
  • ইনভার্টার রেফ্রিজারেশন ইউনিটের কন্ডেন্সারের শেষ প্রান্তে ফিল্টার ড্রায়ার এর এক প্রান্তে অক্সি এ্যাসিটিলিন ব্রেজিং সম্পন্ন করা
  • ড্রাই নাইট্রোজেন এর মাধ্যমে সিষ্টেমের লিক/চোক টেষ্ট করা 
  • ড্রাই নাইট্রোজেন দিয়ে সিষ্টেমের লিক টেষ্ট করা
  • রেফ্রিজারেশন ইউনিটটি টু ষ্টেজ মাল্টি ভ্যান রোটোরী টাইপ ভ্যাকুয়াম পাম্প দিয়ে ইভাকুয়েশন করা 
  • প্রতিবার ৫০০ মাইক্রোন লেভেল অর্জন করে তিন স্তরে ভ্যাকুয়াম হোল্ডিং এর মাধ্যমে ভ্যাকুয়াম সম্পন্ন করা
  • নির্মাতা নির্দেশিত ওজোন ও রেফ্রিজারেন্ট দিয়ে বিধি মোতাবেক গ্যাস চার্জ সম্পন্ন করা 
  • রেফ্রিজারেশন ইউনিটে বৈদ্যুতিক সংযোগ প্রদান করে ইউনিট চালু করা 
  • ইউনিটের কর্মদক্ষতা যাচাই করা

(ক) ব্যক্তিগতসুরক্ষা সরঞ্জাম (PPE)

 

(খ) প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি (টুলস্, ইকুইপমেন্টস ও মেশিন)

 

(গ) প্রয়োজনীয় মালামাল

 

ঘ) কাজের ধারা

১. মালামালের তালিকা অনুযায়ী প্রথমে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও মালামাল সংগ্ৰহ করো। 

২. মালামালের তালিকা অনুযায়ী নিরাপত্তা সরঞ্জাম সংগ্রহ (PPE) ও পরিধান করো। 

৩. গ্যাস থাকলে যথাযথ রিকভারি করো। 

৪. সার্ভিস ভাতগুলো থেকে সাকশন ও লিকুইড লাইন বিচ্ছিন্ন করো। 

৫. গ্যাস ভরেন্ডিং শিখার ভাগ দিয়ে প্রায়ার ট্রেনার খুলে নেও। 

৬. বিচ্ছিন্ন অংশগুলি নাইট্রোজেন গ্যাস দিয়ে আলাদা আলাদা ফ্লাসিং করো। 

৭. ব্রেজিং করে ড্রায়ার স্ট্রেনার সংযোগ করো।

৮. সার্ভিস অদৃভগুলোতে সাকশন ও লিকুইড লাইন সংযুক্ত করো। 

৯. গ্যাস চার্জের পূর্বশর্ত গুলো নিশ্চিত কর অর্থাৎ কম্প্রেসরের পাম্পিং লিক যুক্ত করো। 

১০. গেজ মেনিফোল্ডের সাথে চার্জিং পোর্ট ও ভ্যাকুয়াম পাম্পে হোস পাইপ সংযোগ করো। 

১১. ভ্যাকুয়াম পাম্প চালু কর ও তিন ধাপে যথাযথ ভ্যাকুয়াম (৫০০ মাইক্রোন পর্যন্ত) সম্পন্ন করো। 

১২. কয়েক ঘন্টা অবজার্ভ করে লিক না থাকলে সিলিন্ডার ভালভ খুলে মাপের মাধ্যমে নির্মাতা কর্তৃক  নির্দিষ্ট পরিমান লিকুইড রেফ্রিজারেন্ট সিস্টেমের হিমায়ন চক্রে ঢুকাও । 

১৩. রেফ্রিজারেন্ট সিলিন্ডার ভালত এবং মেনিকোন্ডের ভালভ বন্ধ কর, হোস পাইপ খোল এবং সার্ভিস পোর্টে ডেড নাট লাগাও । 

১৪. এবার ক্ল্যাম্প মিটার লাইনে লাগাও ও ইউনিট চালু করো । 

১৫. প্রায় ১ ঘন্টা চালিয়ে নিচের ছকটি পূরণ করে পারফরমেন্স টেস্ট করো।

১৬. যন্ত্রপাতি পরিষ্কার করে নির্দিষ্ট স্থানে রাখ । 

১৭. ওয়ার্কশপ পরিষ্কার করো।

 

কাজের সতর্কতা:

  • কাজ করার সময় অব্যশই PPE পরিধান করতে হবে 
  • সঠিক ভাবে টুলসের ব্যবহার নিশ্চিত হতে হবে
  • R-410a গ্যাসের জন্য বিশেষ গেজ মেনিফোল্ড ও হোস পাইপ ব্যবহার করতে হবে 
  • R-410a গ্যাস সিলিন্ডার উল্টানো অবস্থায় চার্জ করতে হবে যাতে এই ব্লেন্ড গ্যাসের অনুপাত ঠিক থাকে
  • যদি বুঝতে সমস্যা হয় তবে শিক্ষক মহোদয়ের সহায়তা নিতে হবে

আত্মপ্রতিফলন 

ইনভার্টার রেফ্রিজারেশন (স্প্লিট এয়ারকন্ডিশনার) সিস্টেমে রেফ্রিজারেন্ট চার্জ করার দক্ষতা অর্জিত হয়েছে/হয় নাই/আবার অনুশীলন করতে হবে।

 

 

common.content_added_by

অনুশীলনী

163
163
common.please_contribute_to_add_content_into অনুশীলনী.
common.content
টপ রেটেড অ্যাপ

স্যাট অ্যাকাডেমী অ্যাপ

আমাদের অল-ইন-ওয়ান মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সীমাহীন শেখার সুযোগ উপভোগ করুন।

ভিডিও
লাইভ ক্লাস
এক্সাম
ডাউনলোড করুন
Promotion